ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ভেনিসকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই ভেনিস শহর। শত শত সেতু দ্বীপগুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে। সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা খুব বেশি না হওয়ায়, জোয়ারের পানি বাড়লেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে ইটালির উপকূলবর্তী শহর ভেনিস। ঘন ঘন বন্যা আটকাতে সম্প্রতি একটি স্বয়ংক্রিয় বন্যা-রোধক ব্যবস্থা চালু করেছিল ভেনিস প্রশাসন। গত অক্টোবরে বিপুল খরচে তৈরি ‘এমওএসই’ নামে ওই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এত দিন ঠিকই চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি চালু হয়নি। ফলে সে দিন বিকেল থেকে ফের জলমগ্ন ইটালির ঐতিহ্যবাহী শহরটি।
সমুদ্রতল থেকে ১.৩৭ মিটার উঁচু পানির তলায় এখন ভেনিসের জনপ্রিয় সেন্ট মার্ক স্কোয়ার। এটি ভেনিসের সবচেয়ে নীচু এলাকাগুলির মধ্যে একটি। বাকি জায়গায় পাবি আটকাতে পুরনো পন্থাই ভরসা। বাড়ি আর দোকানের মুখগুলি কাঠের পাটাতন দিয়ে আটকে দিয়েছেন বাসিন্দারা। তুলে রাখা রাবারের বুটজোড়া ফের টেনে বার করেছেন অনেকে।
জলমগ্ন ভেনিস বাসিন্দাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবু নতুন যন্ত্র বসানোর পরে পরিস্থিতি বদলের আশা করেছিলেন অনেকেই। মঙ্গলবারের যান্ত্রিক গোলযোগ সেই আশায় পানি ঢেলে জলমগ্ন করে দিয়েছে ভেনিসের নাগরিকদের।
এমওএসই’ নামে এই বিশেষ ব্যবস্থা খানিকটা কৃত্রিম মেধায় নিয়ন্ত্রিত হয়। পানির স্তর বাড়ার আগাম বার্তা পেলেই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি চালু হয়ে যায়। আধ ঘণ্টার মধ্যে শহরটিকে কৃত্রিম বাঁধের মাধ্যমে বাইরের পানির স্তর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। স্বাভাবিকের থেকে তিন মিটার পর্যন্ত ফানি বাড়লে ব্যবস্থাটি কার্যকর থাকে। মঙ্গলবারের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে ভেনিসের মেয়র জানান, এ দিনের জলস্তর বাড়ার পূর্বাভাসে ভুল তথ্য ছিল। বার্তা ছিল ১.২ মিটার পর্যন্ত ফানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে পানি বেড়েছে অনেক বেশি। ফলে সময়মতো ব্যবস্থাটি চালু করা যায়নি। আর তাতেই বিপত্তি।