
করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবে অনেকটা সফল দেশ অস্ট্রিয়া বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি। তাই সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে অস্ট্রিয়া তার সীমান্তকে আরও কঠোরতর করার ঘোষণা দিয়ে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ ৩২ টি দেশের নাগরিকদের অস্ট্রিয়া প্রবেশ করলে করোনার নেগেটিভ সনদ ও করোনার প্রাথমিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। ইইউ ও শেনজেন রাষ্ট্র সমূহের বাহিরের দেশের নাগরিকদের জন্য বেসিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞাগুলি – শেনজেন অঞ্চল দিয়ে প্রবেশের জন্য পাশাপাশি ট্রান্সপোর্ট, মৌসুমী কর্মী এবং যাত্রীদের জন্য ব্যতিক্রম – ট্রানজিট বন্ধ না করেই যাতায়াত সম্ভব।
অস্ট্রিয়ান, ইইউ নাগরিকদের পাশাপাশি সুইস নাগরিকদের যারা ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে এসেছেন যাদের স্থিতিশীল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নেই – যেমন রোমানিয়া, সার্বিয়া, বসনিয়া, মন্টিনিগ্রো, সুইডেন, রাশিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের – অবশ্যই একটি স্বাস্থ্য সনদ থাকতে হবে (করোনা নেগেটিভ সনদ)বা প্রবেশের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজ খরচে করোনার টেস্ট করাতে হবে। করোনার নেগেটিভ সনদ ৭২ ঘন্টার বেশী হতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে অস্ট্রিয়ান এবং ইইউ নাগরিকদের উল্লিখিত সনদ না থাকলে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজ খরচে করোনার টেস্ট করাতে হবে এবং টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিজ বাড়িতে বাধ্যতামূলক কোয়ারানটাইনে থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত করোনার ঝুঁকিপূর্ণ দেশ সমূহ- মিশর, আলবেনিয়া, বাংলাদেশ, বেলারুশ (বেলারুশ), বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কসোভো, মেক্সিকো , মোল্দাভিয়া, মন্টিনিগ্রো, নাইজেরিয়া, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুইডেন, সেনেগাল, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ইউক্রেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং হুবেই প্রদেশ (চীন)।
তথ্য : ইউরোসমাচার
অন্যান্য সংবাদ ইউরোপ বাংলার :
- যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ
- ২১ নিরাপদ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে সাইপ্রাস, রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ নেই বাংলাদেশিদের
- ভ্যাট জালিয়াতি কারনে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পর্তুগালের পুলিশ
- স্পেনে বৈধতার দাবিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমাবেশ