ইউরোপ বাংলা ডেস্ক সোমবার সকালে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কাছে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামে লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চ বহু যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এই দূর্ঘটনার পর ক্রমাগত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ ৩২ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছে নৌ পরিবহণ বিভাগ ও উদ্ধারকারীরা।

বুড়িগঙ্গা থেকে তুলে সারি সারি মৃত দেহ রাখা হয়েছে সেখানে ময়না। ডুবে যাওয়া লঞ্চে কতজন যাত্রী ছিলেন তার হিসেব নেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল ৫০/৬০ জন। কিন্তু পরে জানা যাচ্ছে দেড়শোর বেশি যাত্রী নিয়েই হয়ত ডুবেছে লঞ্চটি ।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর অনেক যাত্রী সাঁতরে পারে ওঠেন। তবে কত যাত্রী নিখোঁজ তা নিশ্চিত নয়।
উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মধ্যে ৩ শিশু, ৮ জন নারী এবং ২১ জন পুরুষ নিশ্চিত হওয়া গেছে এ পর্যন্ত ৩০ মৃত দেহের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন : ১. সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), ২. মিজানুর রহমান (৩২), ৩. শহিদুল (৬১), ৪. সুফিয়া বেগম (৫০), ৫. মনিরুজ্জামান (৪২), ৬. সুবর্ণা আক্তার (২৮), ৭. মুক্তা (১২), ৮. গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), ৯. আফজাল শেখ (৪৮), ১০. বিউটি (৩৮), ১১. ছানা (৩৫), ১২. আমির হোসেন (৫৫), ১৩. মো. মহিম (১৭), ১৪. শাহাদাৎ (৪৪), ১৫. শামীম ব্যাপারী (৪৭), ১৬. মিল্লাত (৩৫), ১৭. আবু তাহের (৫৮), ১৮. দিদার হোসেন (৪৫), ১৯. হাফেজ খাতুন (৩৮), ২০. সুমন তালুকদার (৩৫), ২১. আয়শা বেগম (৩৫), ২২. হাসিনা রহমান (৪০), ২৩. আলম বেপারী (৩৮), ২৪. মোসা. মারুফা (২৮), ২৫. শহিদুল হোসেন (৪০), ২৬. তালহা (২), ২৭. ইসমাইল শরীফ (৩৫), ২৮. সাইফুল ইলাম (৪২), ২৯. তামিম ও ৩০. সুমনা আক্তার।
আরো খবর