মাসুদ বিন শহিদ লিসবন থেকে
ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে ঘোষণা করা লকডাউনে সারা বিশ্ব তথা ইউরোপের অর্থনীতি লন্ডভন্ড প্রায়।সে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ইউরোপের সকল দেশই আগে পরে পর্যটকদের স্বাগত জানানোর ঘোষণা দিয়েছে তবে সেদিক থেকে পর্তুগাল সবার থেকে এক পা এগিয়ে। পর্তুগাল সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে তারা স্পেন এবং ইতালি ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১শে মে লুক্সেমবার্গ থেকে লু্ক্সএয়ারের সম্পূর্ণ ধারণ ক্ষমতার ১৪১ জন যাত্রী নিয়ে পর্তুগালের অপরুপ সুন্দর শহর আলগার্ভে এসে পৌঁছেছে।
ফারো বিমান বন্দরে বিমানটি অবতরণ করার পর এই ১৪১ জন যাত্রীর ৭০ জন উঠেছেন এন এ ইউ সালগাদোস দুনাস সুইটসে এবং বাকীরা এন এ ইউ সাও রাফায়েল আটলান্টিকোতে। স্থানীয় প্রশাসনের কভিড-১৯ রুখতে করা কঠোর গাইড লাইন অনুসরণ করার নিমিত্তে লুক্সএয়ার ট্যুরস এবং এন এ ইউ গ্রুপের করা চুক্তির ভিত্তিতে পর্যটকদের প্রথম গ্রুপ এসে পৌঁছেছে। এন এ ইউ গ্রুপের সিইও মারিয়ো ফেরেরো বলেন “লুক্সেমবার্গ থেকে প্রথম পর্যটক গ্রুপকে স্বাগত জানাতে পেরে সত্যিই আমরা আনন্দিত। লুক্সএয়ার ট্যুর অনেক পুরাতন একটি ট্যুরিজম গ্রুপ আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের বেছে নিয়েছে।” তিনি আরো যোগ করেন , “আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো তাদের মনে রাখার মত করে সেবা দিতে এবং সবার আগে আমরা সকল পর্যটকদের স্বাস্হ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখভাল করবো”।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হোটেল কতৃপক্ষ ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। হোটেলের প্রতিটি সুইমিং পুলে ২/৩ জন কিংবা সর্বোচ্চ ৩/৪ জনকে নামতে দেয়া হবে। এছাড়াও জনবান্ধব এলাকা এবং রেস্টুরেন্টগুলোও সেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জানাগেছে লুক্সেমবার্গ থেকে আসা পর্যটকগণ ৭ থেকে ১৪ রাত পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউরোপবাংলা/ এমবিএস