মাসুদ বিন শহিদ
ইউরোপ বাংলা নিউজ ডেস্ক: চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাস ইউরোপে সবার প্রথম প্রতিবেশী দু দেশ স্পেন এবং ইতালিতে হানা দেয় । চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী স্পেনে সর্বপ্রথম একজন জার্মান নাগরিকের শরীরে করোনার সংক্রমন নিশ্চিত হওয়ার পর স্পেন সরকার এবং সেদেশের নাগরিক সেটাকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবন পরিচালিত করে আসছিলো কিন্তু ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়াতে অধিক প্রানহানীর আশংকা থেকে ১৪ই মার্চ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে।
স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেরনান্দো গ্রান্দে মারলাস্কা জানিয়েছেন জরুরী অবস্থা চলাকালীন ৯২৬ জনকে আইন ভঙ্গের দায়ে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে পেদ্রো পোখো নামের রিয়েল ভাল্লাদোলিদের একজন খেলোয়াড়ও ছিলো । ম্যানসিটি থেকে ধারে আনা সেই খেলোয়াড়কে পরে ৬০০ ইউরো জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো।এত কড়াকড়ি আরোপের পরেও ইউরোপে যে দু তিনটি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে স্পেন অন্যতম।
আজ অবধি স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৪৯৮৬ এবং মৃত্যু ২৭১১৯ জনে ছাডিয়েছে।আক্রান্তের হারে যা সারা বিশ্বে চতুর্থ এবং মৃত্যুর দিক থেকে ৫ম।স্পেন সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করেও মৃত্যুর মিছিল থামাতে পারেনি তাই চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে করোনায় মৃতদের জন্য সকল সরকারী আধাসরকারী অফিসগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রেখে ১০ দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যা শুরু হয়েছে ২৭ মে বুধবার থেকে এবং শেষ হবে আগামী ৫ জুন শুক্রবার।
সরকারের মুখপাত্র মারিয়া জিসাস মোন্তেরো জানিয়েছেন “এই শোক পালনের সময়কালের মধ্যে রাজা ৬ষ্ঠ ফিলিপ কর্তৃক করোনা আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে”। তিনি আরো যোগ করেন “ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের ৮ জনই ছিলো সত্তোরোর্ধ বয়সের ,আমাদের দেশ গঠনে যাদের অবদান ছিলো অপরিসীম”।
ইতোমধ্যে চায়না,ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো অনেক দেশ তাদের দেশের করোনা আক্রান্তদের সহমর্মিতা প্রদর্শনে শোকদিবস পালন করেছে।
শোক দিবস পালনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ টুইট বার্তায় বিবৃতি দিয়েছেন ।