Friday, মে ৩, ২০২৪

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে অসন্তোষ জানাল বাংলাদেশ

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার প্রতিক্রিয়া দেখানোয় বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়ককে তলব করেছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়াম গতকাল দুপুরে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ককে তলব করেন। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস দেশে নেই। তাঁর বদলে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েন ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

শেলডন ইয়েন তলবে হাজির হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে হামলার শিকার হন হিরো আলম। সেদিন রাতেই ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক বিষয়টি নজরে আনেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওই হামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।

পরদিন ১৮ জুলাই বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস এক টুইট বার্তায় হিরো আলমের ওপর হামলায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের দপ্তরের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির মেৌলিক অধিকার। এই অধিকারের সুরক্ষা ও নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। এরপরদিন গত বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৩টি দেশের দূতাবাস যেৌথ বিবৃতি হিরো আলমের ওপর বিষয়ে উদ্বেগ জানায়।

সেদিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বলেই তারা একটা মগের মুল্লুক পেয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমেরিকার নিউইয়র্কে যখন-তখন লোক মেরে ফেলা হয়। তারা কি বিবৃতি দেয় কখনও? জাতিসংঘ কখনও বলেছে, আমেরিকাতে লোক মরে যায় কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সাইদ ফয়সাল ওরফে আরিফের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলে, একটা বাঙালি ছেলে মারা গেল।

এতদিন হলো! জাতিসংঘ কখনও বলেছে, ওই ছেলের তদন্ত কতদূর হয়েছে? কিংবা রাষ্ট্রদূতরা দলবেঁধে কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) কেন জিজ্ঞেস করেন না (পশ্চিমা দূতদের)? প্রতিদিন লোক মারা যায়, তখন তারা কোনো বিবৃতি দেয় না? পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময় ওই মন্তব্য করেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে আরো একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নিহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে বার্তা দিয়েছে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা