ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণা ছাড়া তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি নির্বাচনে এলে সংলাপ হবে- প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে এদিন বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ যা-ই বলুক না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে এবং পদত্যাগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া সংলাপের কোনো প্রশ্ন উঠবে না। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের জন্য উনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করতে পারেন না।
তাহলে সব মানুষ খুশি হয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, উনি পদত্যাগ করুক। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার আসুক আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেন আর বলবেন সব ত্যাগ স্বীকার করব, এটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন এ দেশের জন্য, জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে জাতির অস্তিত্ব থাকবে কি থাকবে না, এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে জাতির স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না, এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে এ দেশের জাতি একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র তৈরি করতে পারবে কি পারবে না। তাই এই নির্বাচনটা অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপির সঙ্গে জোটের বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম খান, ন্যাপের আজহারুল ইসলাম, জাস্টিস পার্টির সৈয়দ জাবেদ মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।