Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

বিদ্রোহী ওয়াগনার প্রধানকে নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুতিন

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : হঠাৎ করে বিদ্রোহ শুরু করা ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাকে এ সিদ্ধান্ত থেকে নিবৃত করার দাবি করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।

গত ২৩ জুন নিজের ২৫ হাজার সেনা নিয়ে রাশিয়ার রোস্তোভে প্রবেশ করেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। এরপর তিনি তার সেনাদের রাজধানী মস্কোতে পাঠান। প্রিগোজিনের উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন। কিন্তু তিনি বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় ক্ষীপ্ত হন প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি ওয়াগনারকে নির্মূল করার সিদ্ধান্তই নেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৭ জুন) লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়, যেটি আমি বুঝেছি, পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটি নয়, কিন্তু এটি কেমন পর্যায়ে যেত পারত এবং এর পরবর্তী পরিণতি কী হতো।’

‘আমি আরও বুঝতে পেরেছিলাম, একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল— ওয়াগনারকে নির্মূল করার। আমি পুতিনকে পরামর্শ দেই তাড়াহুড়া না করতে এবং বলি চলুন প্রিগোজিন ও তার কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলি।’ লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন, এ সময় পুতিন তাকে বলেন, ‘শুনুন, অ্যালেক্স, এর কোনো দাম নেই। প্রিগোজিন ফোনও ধরে না এবং কারও সঙ্গে কোনো আলোচনাও করে না।’ কিন্তু তা সত্ত্বেও পুতিনকে কঠোর হওয়া থেকে নিবৃত করতে সমর্থ হন বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

তিনি আরও জানিয়েছেন, এর কিছুক্ষণ পর প্রিগোজিনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ স্থাপন করতে সমর্থ হন এবং তাকে হুঁশিয়ারি দেন যদি তার সেনারা মস্কোর দিকে এগুতে থাকে তাহলে তাকে ‘পতঙ্গের মতো পিষে ফেলা হবে।’ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে প্রিগোজিনের সঙ্গে ৩০ মিনিট কথা বলেন। কিন্তু ওই সময় প্রিগোজিন বিভিন্ন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওয়াগনার প্রধানকে তার সেনাদের সরিয়ে নিতে রাজি করাতে সম্মত হন। এদিকে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোজিন রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে গেছেন। আপাতত সেখানেই নির্বাসিত থাকবেন তিনি।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা