Friday, মে ৩, ২০২৪

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ইমরান খান

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) থেকে আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত জাতীয় ব্যুরো এনএবি গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

পিটিআই চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একাধিক এফআইআরে জামিন চাইতে আইএইচসিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় রেঞ্জার্সকর্মীরা তাকে হেফাজতে নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কালো ভিগো গাড়িতে করে নিয়ে যায়। ইমরানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ডক্টর আকবর নাসির খান বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জিও নিউজের মতে, পিটিআই চেয়ারম্যান আইএইচসিতে বায়োমেট্রিক করতে যাওয়ার সময় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এনএবি কর্মকর্তাদের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ইমরানের বিরুদ্ধে ১ মে ওয়ারেন্ট জারি করেন এনএবি চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট। বিবরণ অনুযায়ী, তাকে জাতীয় জবাবদিহি অধ্যাদেশ ১৯৯৯-এর ৯এ ধারার অধীনে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পিটিআই প্রধানকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখনকার একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও পেয়েছে জিও নিউজ। ভিডিওতে তাকে সানগ্লাস পরে শান্তভাবে বসে থাকতে এবং ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়।

আইএইচসির নোটিশ
এদিকে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর আইএইচসির প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক বিষয়টি নিয়ে নোটিশ নেন এবং ইসলামাবাদের আইজি এবং অভ্যন্তরীণ সচিবকে ‘১৫ মিনিটের’ মধ্যে তলব করেন। তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন এবং অবিলম্বে এই গ্রেপ্তারের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি তদন্ত করতে হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’বিচারপতি ফারুক আরো বলেন, ‘আমাদের বলুন, কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে?’ইসলামাবাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল এ সময় অনুরোধ করেন যাতে আদালত ১৫ মিনিটের সময় বাড়িয়ে আধাঘণ্টা করেন। তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা কী?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং অন্যান্য পিটিআই নেতাদের সঙ্গে পিটিআই সরকার এবং একটি সম্পত্তি টাইকুনের মধ্যে একটি মীমাংসা নিয়ে এনএবি তদন্ত করবে, যা জাতীয় কোষাগারের ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতি করেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইমরান এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা ৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি আত্মসাৎ করেছিলেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ওই কম্পানির ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সোহাওয়ার মৌজা বাকরালায় ৪৫৮ কানালের বেশি জমির অযৌক্তিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা