ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশে এমন একটা সময় ছিল, ‘রিজার্ভ কী’ মানুষ সেটা জানতো না। অথচ এখন রিজার্ভ কেন কমলো, সে প্রশ্ন করছেন দেশের জনগণ। মানুষ জানে, এমপি-মন্ত্রী-আমলারা ব্রিফকেস ভরে ডলার পাচার করার কারণে রিজার্ভ ফুরিয়ে এসেছে। অনিয়ম করার পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতে এমন হয়েছে। তাই, ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে যান। আমাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিন, দেখবেন এক বছরের মধ্যেই দেশের অবস্থার পরিবর্তন করে দেব।
সোমবার (৮ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রবাসী অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, তারেক রহমান প্রমুখ।
নুর বলেন, আগামী নির্বাচন হবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য। তাই এ নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে। সেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই করবো। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা বর্তমানে নানাভাবে অবহেলিত হচ্ছেন। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। তারা কষ্টে থাকলেও প্রবাসে তাদের দেখার কেউ নেই। প্রবাসীরা দেশের বাড়িতে ঘর বানাতে গেলে যুবলীগের কাছ থেকে ইট কিনতে হবে, ছাত্রলীগের কাছ থেকে বালি কিনতে হবে। এভাবেই প্রবাসীদের সব লুটেপুটে খাচ্ছে সরকারের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতি পোশাক শিল্পের ওপরে নয়, বরং টিকে আছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ওপর। অথচ সেই প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে এলে তাদের সঙ্গে যেসব ব্যবহার করা হয়, তা খুবই দুঃখজনক। তাদের কোনও অধিকার নেই। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের অধিকার বাস্তবায়ন হবে, সেখানে আইনের শাসন থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি জোট থেকে চলে এসেছি। তবে জোট থেকে চলে এলেও অবৈধ এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যেমন আমাদের অংশগ্রহণ থাকবে, তেমনি ভোটের জন্যও আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সরকার হটানোর যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসিনি। আমাদের যুদ্ধ চলমান আছে।