
দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মাথা ঘামানো পশ্চিমা কূটনীতিকদের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি সাত কূটনীতিকের সিন্ডিকেট প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷
সম্প্রতি মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত আলাদা ভাবে নিজেরদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেছেন।
করোনাভাইরাসের মতো মহামারীর সংক্রমণের সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেন এসব রাষ্ট্রদূত। সংকটকালে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে জনগণের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করাটা জরুরি বলে লিখেন তারা।
এদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ।
তাদের টুইটের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পৃথিবীতে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে এমনভাবে বিবৃতি দিতে দেখিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি খুব খুশি হতাম এই রাষ্ট্রদূতরা যদি জটলা করে বলতেন, রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে—এটা বন্ধ হওয়া উচিত। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রটোকল অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন?
উল্লেখ্য, মানবাধিকার কর্মী, কার্টুনিস্ট ও ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক ছাড়াও গত বুধবার ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতেরা টুইটে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।