ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ বিদেশে কর্মী যাওয়ার হিসাব থাকলেও ফিরে আসার হিসাব থাকে না সরকারের কাছে। তাই প্রবাসী কর্মীর সঠিক সংখ্যাও জানা যায় না। ফিরে আসা কর্মীদেরও শনাক্ত করা যায় না। অবশেষে বিদেশফেরত অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সংরক্ষণে চালু হলো ‘রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস ম্যানেজমেন্ট অব ইনফরমেশন সিস্টেম (রেমিমিস)’ নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।
আজ সোমবার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। প্ল্যাটফর্মটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটির নেতৃত্বে আছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা—আইওএম।
আইওএম জানায়, রেমিমিস একটি ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন। এই রেমিমিস থেকে অংশীদারেরা সহজেই বিদেশফেরত লোকজনের দক্ষতাসংক্রান্ত তথ্য পাবেন এবং চাহিদা অনুসারে কমিউনিটি বা বিভিন্ন খাতে প্রবাসীদের দক্ষতা ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
এসব তথ্য-উপাত্ত একদিকে যেমন বিদেশফেরত লোকজনের বিপদাপন্নতা এবং চাহিদা বুঝতে নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করবে, অন্যদিকে নির্দিষ্ট এবং প্রমাণভিত্তিক সুরক্ষা কার্যক্রম তৈরিতে সহায়তা করবে। এর ফলে নানা কারণে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের পুনরায় কাজে লাগানো সহজ হবে।
রেমিমিস প্ল্যাটফর্মের তত্ত্বাবধানে থাকবে বিএমইটি। প্রবাসীদের তথ্য নথিভুক্ত করতে বিএমইটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি (ডেমো) অফিস এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
ইমরান আহমদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর ফিরে আসা অভিবাসীদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি সমন্বিত ডেটাবেইসের প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রেমিমিস ডেটাবেইস এই চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করবে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা ফিরে আসা অভিবাসীদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারব এবং এর ফলে তারা রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হবেন না।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, দেশে দায়িত্বশীল অভিবাসন ও অভিবাসনে সুশাসনে ডিজিটালাইজেশনের প্রতিশ্রুতির অন্যতম উদাহরণ রেমিমিস।
বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম বলেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে অংশীদারেরা কোভিড-১৯ সংকটের কারণে বিদেশফেরতসহ বিপদাপন্ন অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশনপ্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, প্ল্যাটফর্মটি অভিবাসী কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে এবং অভিবাসনের সুবিধা কমিউনিটি পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখবে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত র্যানচা টিয়ারিঙ্ক বলেন, রেমিমিস প্ল্যাটফর্মটি সরকার, বিশেষ করে বিএমইটিকে, বিদেশফেরত অভিবাসীদের সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে সহায়তা করবে। প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অভিবাসীদের বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, অভিবাসনের দেশ, দক্ষতাসহ নানা তথ্য সহজে জানা যাবে।
সোর্সঃ প্রথম আলো
ইউরোপ বাংলার আরও খবরঃ
- ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ অভিমুখী অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়েছে
- এই বছর কানাডায় এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ২৭৩৩২ জন পার্মানেন্ট রেসিডেন্স নেয়ার ডাক পেয়েছে।
- চতুর্থ ধাপে ভাসানচরের পথে আরও ২০১৪ রোহিঙ্গা
- তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা দুঃখজনক: দোরাইস্বামী