Thursday, মার্চ ২৮, ২০২৪

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের ‘মহান বিজয় দিবস ২০২০’ উদযাপন

ইউরোপবাংলা ডেস্কঃবাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। সকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন ।

 

কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে পর্তুগাল সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এ বছরের বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস  উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক  মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অতঃপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীপাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের তাৎপর্যবাহী ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়।

মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তাগণ বাঙালীদের জীবনে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য  তুলে ধরার পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র সহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,  মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, বিজয়ী দেশের মুক্ত পরিবেশে মানুষের মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশেষভাবে, গত এগারো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বিশ্বময় স্বীকৃত। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, করোনা মহামারীর মধ্যেও গত অর্থবছরে  ৫% শতাংশের বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে।  মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালীর বিজয়ের গৌরবকে ধারন ক’রে বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নত আচরণ আর কাজের মাধ্যমে  বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান। যে মানবিক,  উদার, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য লাখো শহীদ আত্মাহুতি দিয়েছেন, সেই বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর সংবিধান বিরোধী যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে  সকল সচেতন নাগরিকের ঐক্যবদ্ধভাবে  রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন ব’লে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনা পর্বের শেষে দূতাবাস পরিবারবর্গের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা পর্ব শেষে  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

আরও খবর পড়ুন:

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা