ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা দেবেন। এরপর সংসদে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের দুই দিনের আলোচনা শেষে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও বই প্রকাশিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল। সেই হিসাবে আজ ৬ এপ্রিল সংসদের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহবান করেছেন রাষ্ট্রপতি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই অধিবেশন শুরু হবে। এটি হবে চলতি সংসদের ২২তম অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর আগে সকাল ১০টায় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হবে। তবে অধিবেশন চার দিন চালানোর খসড়া পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তা এক দিন বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু। ওই দিন সংসদের প্রথম বৈঠক হয়। তাই ৭ এপ্রিল সংসদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেই দিন উদযাপনের সুযোগ পাওয়া অনেক গৌরবের বিষয়। ৬ এপ্রিল বিশেষ অধিবেশন শুরু হলেও ৭ এপ্রিল বিশেষ অধিবেশনের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ওই দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে আসবেন এবং অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতা দেবেন। এরপর সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় সাধারণ আলোচনার জন্য প্রস্তাব তুলবেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রস্তাবের ওপর সব সংসদ সদস্য আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আলোচনায় ১৯৭৩ সালের সংসদের সদস্যদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ অধিবেশনের আলোচনাগুলো লিপিবদ্ধ করে তা বই আকারে প্রকাশ করা হবে। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও জাতীয় সংসদে সারা বছর নানা কর্মসূচি থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদ ভবনের ভেতরে বাইরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মাঠে সুবর্ণ জয়ন্তীর আকর্ষণীয় লোগো বসানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার দিনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে একটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।