Friday, মে ৩, ২০২৪

ইসির চিঠি পাওয়া ৮ দলেরও সংলাপে আগ্রহ নেই

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ পাওয়া আট দলের নেতাদের সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। বরং সংলাপের আমন্ত্রণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা। তাঁরা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই। তা ছাড়া এজেন্ডাহীন সংলাপে গিয়ে কোনো লাভও নেই।

সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ পাওয়া দলের মধ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলও আছে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত আছে। দলগুলো এই সংলাপে অংশ নেবে না। বামপন্থী দলের মধ্যে সিপিবি ও বাসদ সংলাপে যাবে না। ইসলামী আন্দোলন বলছে, রোজার মধ্যে সংলাপ নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। আন্দালিব রহমান পার্থের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) বক্তব্য, আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন কেন নিজেকে খাটো করছে? এর বাইরে বাংলাদেশ মুসলিম লীগকে (বিএমএল) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গত ২৩ মার্চ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংলাপের জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়। দলটি সে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই চিঠি দেওয়ার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার আরো আট দলকে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। আমন্ত্রণ পাওয়া এই দলগুলোও এর আগে বিএনপির মতোই ইসির আনুষ্ঠানিক সংলাপে অংশ নেয়নি। এদের নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, এবারও দলগুলো সে পথেই হাঁটছে। এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সংলাপের চিঠি এখনো হাতে পাননি। আমন্ত্রণ পেলেও সংলাপে যাবেন না। এই ধরনের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না।

বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, তাদের আমন্ত্রণপত্রে খালেকুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমন্ত্রণপত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নখদন্তহীন। তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। গত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং গাইবান্ধা উপনির্বাচনে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুতরাং এ ধরনের ইসির অধীনে সংলাপের ফাঁদে পা দেবেন না তাঁরা।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সংলাপের চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে কোনো এজেন্ডা নেই। তবুও দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দলটির একটি সূত্র জানায়, সিপিবি এই সংলাপের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবে না। বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কেন এই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে বিব্রত হচ্ছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। তাহলে কেন এসব আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন? এ ধরনের সংলাপে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এখনো চিঠি হাতে পাননি। চিঠি পেলেও রমজানের মধ্যে এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। পুরো রমজানে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক অনেক কর্মসূচি আছে। এসব কর্মসূচিতে নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, চিঠি পেয়েছেন। দলীয় ফোরামে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি সূত্র জানায়, যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে যাদের আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন, তাদের সংলাপে যেতে নিরুৎসাহিত করবেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা