Sunday, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

সাগরে ভাসমান কমপক্ষে ১৩০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করল ইতালি

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সাগর ভেসে থাকা অভিবাসীদের উদ্ধারে শনিবার (১১ মার্চ) অভিযান চালায় ইতালির কোস্টগার্ড। ইতালির দক্ষিণ প্রান্তে তিনটি পৃথক অভিযানে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছে, পাথরে আঘাত লেগে উপকূলের কাছে নৌকা ডুবিতে ৭৪ জন নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পরেই এমন ঘটনা ঘটল। অভিবাসী সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় ইতালির রক্ষণশীল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তাদের একটি জাহাজ অভিবাসীদের নৌকা থেকে ৫০০ অভিবাসীকে রেজিও ক্যালাব্রিয়া শহরে নিয়ে গেছে। আরকেটি পৃথক জাহাজ আরো ৩৭৯ জন অভিবাসীকে সরিয়ে নিয়েছে এবং শীঘ্রই তাদের স্থলে নিয়ে আসা হবে।

কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নৌকাগুলো অভিবাসীদের ভরা ছিল। প্রতিকূল সমুদ্র পরিস্থিতির কারণে তাদের উদ্ধার করাও বেম জটিল ছিল।’ ৪৮৭ অভিবাসী বহনকারী আরেকটি মাছ ধরার নৌকা, ক্রোটোনের ক্যালাব্রিয়ান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু মাছ ধরার ট্রলারে অতিরিক্ত মানুষ বোঝাই করা ছিল, তাই খুব সাবধানে ওই নৌকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন আরো ২০০ জনকে সিসিলির উপকূল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার থেকে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। যেখানে গত বছরের পুরো মার্চে মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন দেশটিতে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। ইতালির বর্তমান সরকার অভিবাসীদের ঢল ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছিল তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র যাত্রা থামাতে পারছে না তারা।

ফেব্রুয়ারিতে জাহাজডুবির ঘটনায় ইতালি সরকারের কোনো খামখেয়ালি ছিল কিনা সে বিষয়টি এখন তদন্ত করছেন দেশটির কৌঁসুলিরা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, এ ঘটনার জন্য মানব পাচারকারীদের অভিযুক্ত করেছেন। মেলোনির মন্ত্রীসভা বৃহস্পতিবার মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর জেলের বিধান রেখে একটি আইন উত্থাপন করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মেলোনি কথা দিয়েছেন, বৈধভাবে যেন অভিবাসীরা আসতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা