Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালো বাংলাদেশ

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ‘ক্রিকেটের ঘর’ মিরপুর ছেড়ে সাগরিকায় যেতেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ালেও তৃতীয় ওয়ানডেতে আজ ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে উড়িয়ে দিয়ছে টিম টাইগার। ১১ বছর ধরে কোনো দলই বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ধোলাই করতে পারেনি। আজকের এই জয়ে সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ন রইলো।

রান তাড়ায় নেমে ইংল্যান্ড বেশ ভালোই শুরু করেছিলো। কিন্তু ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ১ রানের মধ্যে নেই আরো ২ উইকেট! ২৫ বলে ৩৫ রান করা ফিল সল্টকে দিয়ে শুরু করেন সাকিব। এরপর স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই ডেভিড মালানকে (০) মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি করেন ইবাদত। এরপর আবার সাকিব। দলীয় ৫৫ রানেই তিনি ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জেসন রয়কে (১৯)। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়েন স্যাম কারেন আর জেমস ভিন্স। ২৪তম ওভারে স্যাম ৪৯ বলে ২৩ রান করা কারেনকে লিটন দাসের তালুবন্দি করেন মিরাজ।

এরপর ফের মঞ্চে সাকিব আল হাসান। তার বলে কিপার মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন জেমস ভিন্স (৩৮)। এরপর ইবাদত হোসেনের বলে অল-রাউন্ডার মঈন আলী (২) বোল্ড হয়ে গেলে ১৩০ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর সবচেয়ে বড় শিকারটি ধরেন তাইজুল। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ২৪ বলে ২৬ রান করা জস বাটলার। ম্যাচ পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার আদিল রশিদ (৮)। মিরাজদের দুর্দান্ত ক্যাচে রেহান আহমেদকে (২) ফিরিয়ে সাকিব ধরেন চতুর্থ শিকার। যা সাকিবের ৩০০তম ওয়ানডে উইকেট। এবাদতের বলে তামিম ক্যাচ না ফেললে ম্যাচটা ৪২ ওভারেই শেষ হয়ে যেত। সাকিবের করা ৪৩তম ওভারের শেষ বলে রিভিউ নিয়ে লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান জোফরা আর্চার। পরের ওভারের প্রথম বলেই ক্রিস ওকসকে (৩৪) কট অ্যান্ড বোল্ড করে ব্রিটিশদের ইনিংসে ইতি টেনে দেন মুস্তাফিজ। ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানে অল-আউট হয় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ পায় ৫০ রানের দারুন জয়।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সোমবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ১ রানেই টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ‘ডাক’ মেরে ফিরেন লিটন দাস। শিকারী স্যাম কারেন। অপর ওপেনার তামিমকেও ১১ রানে ফেরান এই ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৭১ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রানের ইনিংস। দীর্ঘদিন পর মুশফিকের ব্যাটেও দেখা যায় রান। ৬৯ বলে ফিফটি পূরণ করার পর দারুণ খেলছিলেন। একটা সময় সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও থামেন ৯৩ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৩ রানে।

মুশফিক-শান্তর ৯৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতেই বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত্তি স্থাপিত হয়। পাঁচে নেমে সাকিব আল হাসান ছিলেন দুর্দান্ত। ৫৫ বলে ফিফটি তুলে নেন। তবে ইনিংসে একমাত্র ছক্কা মারা মাহমুদউল্লাহ ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছে মেহেদি মিরাজ (৫), তাইজুলদের (২) নিয়ে গড়া লোয়ার মিডল অর্ডার। সাকিবের সঙ্গে ৫৯ রানের দারুণ জুটি গড়েও আফিফ করেন ২৪ বলে ১৫ রান। সাকবি ৭১ বলে ৭ চারে ৭৫ রান করে আউট হন। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন জোফরা আর্চার। ২টি করে নিয়েছেন স্যাম কারেন আর আদিল রশিদ।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা