Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

নিজেদের বাসস্থান ছাড়তে হচ্ছে হ্যারি-মেগানকে

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের উইন্ডসরের বাড়িটি ছাড়তে বলা হয়েছে। বুধবার এ খবর তাদের মুখপাত্র নিশ্চিত করেন। এতে তাদের যুক্তরাজ্যে থাকার আর নিজস্ব কোনো জায়গা থাকল না।

‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের এই বাড়িটি তারা ২৯ লাখ ডলার খরচ করে সংস্কার করেছিলেন। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিয়ের সময় হ্যারি ও মেগানকে এই বাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। এই বাড়িটি এখন রাজা তৃতীয় চার্লসের ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়। রাজা তৃতীয় চার্লস সব সময় রাজতন্ত্রের পরিধি কমিয়ে আনার পক্ষপাতী ছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রাজতহবিল ঢেলে সাজানোর কাজে হাত দেন। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বর্তমানের ৩০ কক্ষের রাজবাড়িটির পেছনে বছরে দুই লাখ ৫০ হাজার ইউরো খরচ বরাদ্দ রয়েছে। এই বরাদ্দ কাটছাঁটের সম্ভাবনা আছে।

ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত এ দম্পতিকে রাজবাড়ি ছেড়ে দিতে বলার পেছনে প্রিন্সের আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এর প্রভাব আছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। কেননা প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিন পরই এই দম্পতিকে বাড়িটি খালি করে দিতে বলা হয়। বইটিতে দাবি করা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি তার ভাই প্রিন্স অব ওয়েলসের শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি আরো লিখেছেন, তিনি এবং তার ভাই তাদের বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন ক্যামিলাকে বিয়ে না করার জন্য।

আকস্মিক রাজকীয় জীবন ছেড়ে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। এরপর অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে শুরু করে নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্রসহ বিভিন্ন প্রজেক্টে অংশ নেন। রাজপরিবারে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। জানুয়ারিতে প্রকাশিত হ্যারির আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘স্পেয়ার’ বিক্রিতে রেকর্ড গড়ে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা