Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা : ওআইসিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : মানবিক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ বিষয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

জেদ্দায় আজ সোমবার ফিলিস্তিন জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে ওআইসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশের এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ও ওআইসিতে বাংলাদেশের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাজমুল হক। সৌদি আরবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও তুরস্ক, পাকিস্তান, নাইজার, মউরিতানিয়া, মিশর, ইরাক, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়া, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া ও মরক্কোর প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। কনসাল জেনারেল সভায় বলেন, সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে আরো খারাপ হচ্ছে। গত বছর অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জুড়ে কমপক্ষে ৩০ শিশুসহ ১৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। কেবল চলতি বছরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

মোহাম্মদ নাজমুল হক সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আরো বসতি নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ে ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের গভীর হতাশা ও উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের আগ্রাসন ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। নাজমুল হক ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

কনসাল জেনারেল ইসরায়েলি বসতি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের সম্প্রতি জারি করা বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দখলদার শক্তি ইসরায়েলকে যেকোনো ধরনের বর্বরতা, নৃশংসতা ও বলপ্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমরা নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা কমাতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করায় জর্দানের প্রশংসা করেন। কনসাল জেনারেল পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী হিসেবে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন স্বদেশ এবং একটি সার্বভৌম এবং কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। সভা শেষে একটি যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা