Thursday, মে ১৫, ২০২৫

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। এদিন সারাদেশে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই কোটি ২০ লাখ ছেলেমেয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা বিভাগের ৪০ হাজার লোক কাজ করবে।

মন্ত্রী জানান, ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখসহ মোট দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‌‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪ শতাংশ প্রায় নাই বললেই চলে।

মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ের পুরোহিতদের দ্বারা জনগণকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিকে রাজধানীতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়াতে ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

এই ক্যাপসুল সবধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞকে (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় জানানো হয়, শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা