Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ২১ হাজার ছাড়ালো

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৭ হাজার ৬৭৪ জন ও সিরিয়ার তিন হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটার শকের শঙ্কাও রয়েছে। ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, পশিচমের আদানা থেকে পূর্বের দিয়ারবাকির পর্যন্ত মোটামুটি ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মাইল) এলাকার প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সিরিয়ায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের হামা শহর পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি তুরস্কের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাখ লাখ গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নগরীর কেন্দ্রস্থলে এবং স্টেডিয়ামগুলোতে তাঁবু খাটানো হচ্ছে। তাছাড়া, ভূমিকম্প এলাকার বাইরে ভূমধ্যসাগরীয় এবং এজিয়ান সাগরের সৈকতে গ্রীষ্মকালীন রিসোর্টগুলো গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দিতে হোটেলরুম খুলে দিচ্ছে।

তুরস্কজুড়ে হোটেলগুলোতে ১০ হাজার কক্ষ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব হোটেলকক্ষ মূলত আনতালিয়া, মারমারিস, ফেথিয়ে, বদরুম, আজমির এবং কাপাদোসিয়ার রিসোর্টের। গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা