ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বর্তমানে মৃতদেহগুলো গণকবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। প্রকাশিত একটি ড্রোন ভিডিওতে সেটাই দেখা যাচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি গতি বাড়াতে হচ্ছে দাফনের কাজেও।
‘হোয়াইট হেলমেট’ একটি নাগরিক প্রতিরক্ষা ও উদ্ধারকারী সংস্থা। দাফনের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় কাজ করছে এটি। তাদের পোস্ট করা একটি ভিডিওর বিবরণ অনুসারে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের আফরিন জেলায় জিন্ডারিস শহরে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কবরস্থান খনন করা হচ্ছে।
জিন্ডারেস হলো সেই শহর, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছিল। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জন্মের মাত্র কয়েক মিনিট পরেই শিশুটি অনাথ হয়ে যায়। ভূমিকম্পে মৃতদের ডিএনএ নমুনা রেখে তবেই কবর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এখন পর্যন্ত বেশির ভাগের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় সোমবারের ভূমিকম্পে মৃত্যুসংখ্যা একুশ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ ছবি এখনো অস্পষ্ট। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের তিন দিন পরও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকারীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হয়ে আসছে।