Tuesday, মে ২০, ২০২৫

মুসলিম উম্মাহর ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তানের পাশে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র এক হয়ে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো উচিত।মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওআইসির সদস্যভুক্ত সাতটি দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো। বঙ্গবন্ধু ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে জানিয়ে তিনি দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা। বিশেষ করে সফলতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় তারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে, সুখে আছে অভিমত ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূতরা বলেন, এ জন্য মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারাও খুশি এবং গর্বিত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে তারা বলেন, বাংলাদেশ শুধু নিজেরই উন্নয়ন করছে না, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ লাখ জনগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। সেখানকার অর্থনীতিতে তারা ব্যাপক অবদান রাখছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রদূতরা। পরবর্তী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা কামনা করেন তারা। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি চান, সুষ্ঠুভাবে ভোট হোক। জনগণ যদি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে, না হলে আসবে না। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মা, পরিবারের সবাইকে হারানো এবং বিদেশে থাকায় দুই বোন বেঁচে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে গুরু দায়িত্ব নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, নিজের জন্য নয়, তিনি কাজ করেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। তার একটাই উদ্দেশ্য, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা