Friday, মে ৩, ২০২৪

নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : অভুত্থানের দুই বছর পর নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। তবে সেনা শাসনের বৈধতা দিতে এই নির্বাচন বিরোধীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়াবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, সেনা শাসনের আওতায় এই ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। এই ভোটের লক্ষ্য জান্তার ক্ষমতা দখলের ন্যায্যতা প্রমাণ করা।

২০২০ সালের নভেম্বরে অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাকে প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল সেনাবাহিনী। এই অজুহাত দেখিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে সু চিসহ তার দলের অনেক নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করা হয়। মিয়ানমারে সরকার বিরোধী দল এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ও চীন নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়েছে সামরিক জান্তাকে। সামরিক বাহিনী চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন নির্বাচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সরকার অবশ্য নির্বাচনের জন্য এখনও কোনও তারিখ নির্ধারণ করেনি। তবে গত সপ্তাহে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিশৃঙ্খলার বাইরে থাকা জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এবং ছোট ও আঞ্চলিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য কাজ করছে সামরিক বাহিনী।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির হতে হতে থেইন বলেছেন, দেশের অনেক এলাকায় ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ‘যে এলাকায় তারা নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে এবং জান্তা-অনুষঙ্গী দল বা দলগুলোকে ভোট দিতে পারে। জনগণ অবশ্যই ধরে নেবে যে তাদের ওপর নজরদারি হচ্ছে এবং জান্তার বিরুদ্ধে ভোট বা ভোট না দেওয়ার জন্য শাস্তি হতে পারে।’

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা