Saturday, মে ৪, ২০২৪

ভারতকে আমাদের বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই: কাদের

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ কখনও ভুলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেই বন্ধনই দুই দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ৭১ সালের রাখিবন্ধন কখনও ভুলি নাই, ভুলতে পারি না। এটাই আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভারত তো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। কিন্তু ভারত আমাদের পাশে আছে। এটা একটা ব্যাপার। ভারতকে আমাদের বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের ভোট জনগণ দেবে। ভারতেকে পাশে পেলে আমরা শক্তি পাই। কারণ, আমাদের এখানে শত্রু বেশি, অনেক ষড়যন্ত্র হয়।

তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে কাদের বলেন, ছিটমহল বিনিময় এখানে এতো শান্তিপূর্ন ছিল। এটা একটা বিরাট অর্জন। এর কৃতিত্ব আমাদের নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবশ্যই দিতে হবে। তারপরও আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার আছে। যেমন ওয়াটার। এসব বিষয়গুলো আছে। সেটা আলোচনার মধ্যে আছে, আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের সাথে বৈরি সস্পর্ক রেখে আমরা আমাদের পাওনাটা পাবো না। যেসব বিষয়গুলো আছে, সমাধান করতে হলে বন্ধুত্ব রাখতে হবে। আলোচনা করতে হবে। আলোচনার টেবিলে করতে হবে। সেটা আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, পানিচুক্তি নিয়ে দুদেশের আলোচনাকে আমরা পজিটিভভাবে দেখছি। এখানে রাজ্য সরকারের বিষয় আছে। আপনারা যারা পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক আসেন আপনারাও বলবেন বাংলাদেশের দিকে একটু তাকাতে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ভুল ত্রুটিও আছে। কিন্তু তার পরেও একটা কথা মনে রাখবেন, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের শেখ হাসিনার চেয়ে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু আরেকজন আপনাদের নাই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে। আমরা ভারত সরকারের বন্ধু।

রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ দল বিএনপি। তাদের সঙ্গে আছে জামায়াত, জঙ্গিবাদী কিছু দল। তাদের সাথে আছে আলট্রা ল্যাফট, আলট্রা রাইট কিছু দল, সব মিলিয়ে ৩৩। তারাসহ ৩৪। এটা একটা জগাখিচুরি ঐক্য। এই ঐক্য গতবার ফল দেয়নি। আমরা দল ভাঙাতে নেই। বিএনপি নিজেরা নিজেদেরকে ভাঙা ভাঙি করে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।’ এ সময় পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেলের আয় তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন ২ কোটি ১০/১২ লাখ টাকার টোল আদায় হচ্ছে। প্রথম ৬ সাসে ৪০৩ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। মেট্রোরেলে গত ১০ দিনে ৮৮ লাখ টাকা ভাড়া হিসেবে পেয়েছি।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা