ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর অন্তত ছয় জন সিনিয়র নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রক্রিয়া চলছে। বুধবার সন্ধ্যার আগে-পরে আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তর কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, আজ রাতে বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হবে। আর বাকি নেতাকর্মীদের পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, কলাবাগান, ধানমন্ডি, শাহজাহানপুর থানায় রাখা হবে।
বিকেল ৪টার কিছু সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামনের সড়কে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এসময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা এ্যানী ও জুয়েলকে তুলে নিয়ে যায়। তবে সাংবাদিকরা ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে তাদের আটক করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে নয়াপল্টন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়।