ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। আর এতে সুনামির আশঙ্কা করছে পার্শ্ববর্তী দেশ জাপান। অগ্ন্যুৎপাতের পর আকাশে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাইয়ের কুণ্ডলী তৈরি হয়। এতে করে ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সি (বিপিএনবি) সেখানে অবস্থানরত সাধারণ মানুষকে অগ্ন্যুৎপাতের পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বলেছে। এছাড়া নদী থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে তারা, কারণ অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বেরিয়ে আসা উত্তপ্ত লাভা নদীতে গড়িয়ে যেতে পারে।
আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাপান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্ভাব্য সুনামির ওপর সতর্ক নজর রাখছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৬ মিনিটে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। রোববার সকালে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই আগ্নেয়গিরির আশপাশের আকাশ ধূসর ছাইয়ের মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ইন্দোনেশিয়া। এখানে প্রায়ই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।
আগ্নেয়গিরির ছাই ১৫ হাজার মিটার ওপরে ওঠায় সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সকে সতর্ক করা হয়েছে। এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আশপাশের গ্রামগুলো ধ্বংসাবশেষে ঢেকে গেছে। ঘন ধোঁয়া সূর্যকে ঢেকে ফেলছে। পুরো এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তা তরিকুল হক বলেন, ‘ওই এলাকা থেকে মালাং শহরের একটি সড়ক ও ব্রিজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে।’