ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার অন্তত একটি দূরপাল্লার এবং দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, সেখানে দূরপাল্লার আন্ত মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। পিয়ংইয়ং এক দিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর এ ঘটনা ঘটল। বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছে অবতরণ করেছে। সিউলও তার নিজস্ব তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এর জবাব দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বকালের সর্ববৃহৎ যৌথ বিমান মহড়ার প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা এসেছে। পিয়ংইয়ং ওই যৌথ মহড়াকে ‘আক্রমণাত্মক এবং উসকানিমূলক’ বলে কঠোর সমালোচনা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালের সর্বশেষ উৎক্ষেপণের কারণে জাপান সরকার তার উত্তরাঞ্চলের কিছু বাসিন্দার জন্য বিরল জরুরি সতর্কতা জারি করে। তাদের বাড়ির ভেতরে থাকতে বলা হয়।
টোকিও প্রথমে বলেছিল ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান দ্বীপপুঞ্জের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা পরে বলেন, এটি ‘জাপানি দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করেনি, তবে জাপান সাগরের ওপর দিয়ে যায়। ’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা পরে উত্তর কোরিয়ার ‘নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের’ নিন্দা করেন এবং একে ‘চরম আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন-ডং এবং মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান বৃহস্পতিবার ফোনালাপের সময় বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ‘দুঃখজনক ও অনৈতিক’।