Tuesday, মে ২০, ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন বিগত দিনের মত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই থাকবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বর্তমান সরকার নতুন পাঁয়তারা শুরু করেছে। কিন্তু এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। আজ শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। কারণ আপনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। ’

তিনি বলেন, এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা জানগণকে বঞ্চিত করে বিনা ভোটে ক্ষামতায় টিকে থাকতে চায়। তাই তার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। হাসিনা সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে, গ্রেপ্তার করেও খুলনায় বিএনপির সমাবেশ একটুও রুখতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল খালেদা জিয়াকে জেলে দিলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। তবে না, বিএনপি নতুন সাহসে বলীয়ান হয়ে উঠেছে। এই জনসমুদ্র তারই প্রমাণ।

মির্জা ফখরুল বলেন, বীর খুলনাবাসী। আজকের এই সমাবেশ আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দূর থেকে দেখছেন। আপনারা নানা বাধার পরও সমাবেশ সফল করেছেন। আমার মা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, দলের চেয়ারপারসন, যাকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সেই খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং সেই নেতা যিনি আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সেই তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের অভিবাদন জানাচ্ছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যদি জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন করতে পারি এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন টেকব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসো, কোন বাংলাদেশ? বাংলাদেশের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। সমৃদ্ধির বাংলাদেশ, মানবিকের বাংলাদেশ, মানবাধিকারের বাংলাদেশ, ভালোবাসার বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশকে ফিরে পেতে চাই।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা