
নতুন এই আইনের ফলে দেশটির ১৬টি রাজ্যের সবকটিতেই গণপরিবহনে মাস্ক পরতে হবে। তবে রাজধানী বার্লিনে কেনাকাটা করার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়নি।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় স্যাক্সনি রাজ্য প্রথম মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ তালিকায় সবশেষে যোগ দিয়েছে ব্রেমেন। শুক্রবারই এ রাজ্যের সিনেট মাস্ক পরার নিয়ম পাস করবে।
বেশির ভাগ রাজ্যই এভাবে নিয়ম পাসের পর তা চালু করবে সোমবার থেকে। তবে কী ধরনের মাস্ক পরতে হবে সে ব্যাপারে রাজ্য ভেদে ভিন্নতা আছে।
গত সপ্তাহে দেশব্যাপী লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। সে সময় তিনি লকডাউন শিথিল অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
মেক্লেংবার্গ-ওয়েস্টার্ন পোমারানিয়া প্রদেশে গণপরিবহনে মাস্ক না পরলে ২৭ ডলার জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য রাজ্যে মাস্কা না পরলে শাস্তির বিধান কী হবে তা ঠিক করা হয়নি।
আবার কী ধরনের মাস্ক পরতে হবে তাও নিশ্চিত নয়। কয়েকটি রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সার্জিক্যাল মাস্ক স্বাস্থ্য কর্মীরাই ব্যবহার করবেন। সাধারণ মানুষ মুখে স্কার্ভ বা কাপড় বাধলেই হবে।
জার্মানির আগে ইউরোপের আরও তিনটি দেশ অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া গণপরিবহন ও কেনাকাটার সময় সাধারণের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। এ ছাড়া স্পেনে যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। ফ্রান্স বলেছে, সকল নাগরিক যেন মাস্ক পান সেজন্য পর্যাপ্ত মাস্ক উৎপাদন করা হবে।
জার্মানির আরো সংবাদ পড়ুন – জার্মানির নতুন অভিবাসন আইন, বাংলাদেশ থেকেও আবেদন করা যাবে