Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

মায়ার্সের সেঞ্চুরিতে শতাধিক রানের লিড উইন্ডিজের

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ক্রিজে গাঁটি গড়া উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হওয়ার পর খালেদ আহমেদের এক ওভারেই আরও দুই উইকেট। দুই ওভারের এই ম্যাজিকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু কিসের কী। কাইল মায়ার্সের সেঞ্চুরিতে নিভে গেলো সব আশা, দিন শেষে মিলল শুধু একরাশ হতাশা। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিন (শনিবার) শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। কাইল মায়ার্স ১২৬ ও জশুয়া সিলভা ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। লিড দাঁড়িয়েছ ১০৬ রান।

আজ সারাদিনে ৫ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে চার উইকেটের পর তৃতীয় সেশনে ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেটের দেখা পায়নি সাকিবের দল। একমাত্র প্রাপ্তি বলতে প্রথম সেশনের ৪ উইকেট। যা ৩২ রান করতেই হারায় উইন্ডিজ।

দ্বিতীয় ঘন্টায় জন ক্যাম্পবেলকে (৪৫) ফিরিয়ে শতরানের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ব্র্যাথওয়েট-রেইফার আবার শাসন শুরু করলে আক্রমণে আসেন মিরাজ। ফিফটির পর ব্র্যাথওয়েট (৫১) ফেরেন মিরাজের শিকার হয়ে। এরপর খালেদ এসে একই ওভারে ফেরান রেমন রেইফার (২২) ও এনক্রুমা বোনারকে (০)। ৩৭ ওভারের সময় বল পাল্টে সাফল্য পেয়েছিলেন খালেদরা। ৩ রানে ৩ উইকেটের পরের গল্প উইন্ডিজের প্রতিরোধের। আর বাংলাদেশের হতাশার।

ব্ল্যাকউড-মায়ার্স মিলে প্রথম সেশন পার করে ধাক্কা সামলান। আর দ্বিতীয় সেশনে এসে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। একপাশে দেয়াল হয়ে ছিলেন ব্ল্যাকউড, আরেক পাশে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন মায়ার্স। দুজনে দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে ১১১ রান তুলেন। ৭৫ বলে ফিফটির দেখা পান মায়ার্স।

তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে ব্ল্যাকউড (৪০) ফেরেন মিরাজের শিকার হয়ে। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি উইন্ডিজ। একপাশে মায়ার্স খেলছেন সাবলীল ভাবে। আরেক পাশে জশুয়া ডটের পর ডট খেলে বাংলাদেশি বোলারদের আরও নির্বিষ করে দেন। মায়ার্স ১৫০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৩ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিল দ্বিতীয় শতক। তার দুটি সেঞ্চুরিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। দলকে শতাধিক রানের লিড এনে দিয়ে দুজনে ফিরলেন উইন্ডিজকে লড়াকু স্কোর এনে দিয়ে। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯২ রান। এর আগে দুটি শতরানের জুটি (১০০ ও ১১৬) ছিল উইন্ডিজের।

চা বিরতির পর স্পিন ভালো ধরাতে বাংলাদেশ নতুন বল নিতে একটু দেরি করে। কিন্তু মিরাজের উইকেট ছাড়া কোনো সাফল্য নেই। সাবধানী খেলে কাটিয়ে দেন মায়ার্স-জশুয়া। নতুন বলেও লাভ হয়নি। দুটি করে উইকেট নেন মিরাজ-খালেদ। শরিফুলের ঝুলিতে জমা হয় ১টি উইকেট। সাকিব-ইবাদত দেখা পাননি উইকেটের। লিডের পাহাড়ে চাপা পড়তে না চাইলে তৃতীয় দিনের শুরুতেই আক্রমণে আসতে হবে সাকিব-খালেদদের। নাহয় যা বিপদ অপেক্ষা করছে সামনে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা