Thursday, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করেত চায় জাপান

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এই সময়ে মানিকগঞ্জ-রাজবাড়ীকে সড়কপথে সংযুক্ত করতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে তাতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। এ বিষয়ে ঢাকায় নিজের বাসায় সাংবাদিকদের জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকো বলেন, আমি নিশ্চিত যে এক সময় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হবে। জাপান সরকার ও জাইকা এ সরকারের নির্মাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিবেচনার অবস্থানে থাকবে। বর্তমানে জাপান সরকারের অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের প্রস্তাবের সুযোগ নেওয়া।

বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে নির্মিত পদ্মা সেতুর খরচের টাকা উঠলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া প্রান্তে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করার চিন্তা করবো।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। আর এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এটি (পদ্মা সেতু) অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও সফল হবে। সুতরাং দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে একটি বাস্তবতা। জাপান এ পর্যন্ত সারাদেশে ছোট ও বড় ১৩৪টি সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে টোকিও ভালো প্রযুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ নিজে থেকে কতটা করতে সক্ষম। রূপকল্প-২০৪১ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় পাশে থাকবে জাপান।

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান ঢাকায় জাপানের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। আর এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে। চলতি মাসে পদ্মা সেতু এবং বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টি করে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পদ্মা সেতুতে জাপান যুক্ত থাকতে পারেনি বলে দুঃখও প্রকাশ করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে জাইকা পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের অংশ হতে পারেনি। যদিও এটাতে জাপান সরকারের আগ্রহ ছিল।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা