ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ নতুন বছরের দুঃস্বপ্নের দুটি মাস পার করে পর্তুগাল এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চিন্তা করছে সংক্রমণ একেবারেই কমে এসেছে বলতে গেলে ইউরোপের পাঁচটি কম সংক্রমণ দেশের মধ্যে পর্তুগাল একটি তাই তারা বর্তমান লকডাউন শিথিল করেন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার পরিকল্পনা করছে।
পর্তুগালের শিক্ষা কার্যক্রম কে অব্যাহত রাখা এবং গতিশীলতার জন্য সরকার ২০০ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করেছে তবে এর আওতায় কেবলমাত্র পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠান (আই পি এস এস) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মহামারী প্রেক্ষাপটের জন্য একটি বিধিমালা কার্যকর করেছে তবে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এই বিধিমালা পরিবর্তন করা হয় নতুন কভিড সংক্রমণ ভ্যারিয়েন্ট কারণে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পর্তুগালের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ডে-কেয়ার সেন্টার গুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নতুন বিধিমালা প্রেরণ করেছে এবং এর সাথে কভিড-১৯ এর জন্য ল্যাবরেটরি স্ক্রীনিং প্রোগ্রামের ও গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতি ১৪ দিনে একবার করে সকলের টেস্ট করানো হবে এবং পরবর্তীতে ২৮ দিন পর তবে সংক্রমণ ধরা পড়ার হিসেব এর উপর নির্ভর করে কমে এটি ৭ দিন পরপর বা ১৪ দিন পরপর হবে তা নির্দেশিকা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দশম একাদশ এবং দ্বাদশ বছরের শিক্ষার্থীরা এই ল্যাবরেটরী স্ক্রিনিংয়ের আওতায় থাকবেন । প্রাথমিক প্রথম থেকে তৃতীয় সার্কেল , প্রি স্কুল এবং ডে-কেয়ার সেন্টার এর শিশুদেরকে এই প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয হয়েছে কেননা কিছু গবেষণায় শিশুরা কম সংক্রমণ যোগ্য হিসেবে পাওয়া গিয়েছে তবে শিশুদের মাধ্যমে সংক্রমণ যোগ্যতা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে ১৬ ই মার্চ পর্যন্ত জরুরি অবস্থায় রয়েছে তবে ইতিমধ্যে আগামী ১৬ ই মার্চ পরবর্তী লকডাউনের বিধিনিষেধ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে করণা মহামারীর জন্য গঠিত টেকনিক্যাল টিম একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হচ্ছে উক্ত প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী অন্তনিও কস্তা মন্ত্রিসভায় এবং পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর জাতির উদ্দেশ্যে তুলে ধরবেন।