ইউরোপ বাংলা ডেস্ক: আগের দিন তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, ২৫০ রান হলেই জিতবে বাংলাদেশ। অর্থ্যাৎ ২৫০ রানই বাংলাদেশের জয়ের জন্য যথেষ্ট। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টার্গেট পেলো ৩৯৫ রানের। অথচ এই লক্ষ্যটাও পেরিয়ে গেলো তারা! পঞ্চম দিনের শেষ ঘন্টাতেও বোঝা যাচ্ছিল না, শেষ হাসি হাসবে কে। শেষতক সেই হাসিটা হাসল ক্যারিবীয়রাই। হতাশায় ডুবাল ঘরের মাঠের বাংলাদেশকে।
অভিষিক্ত কাইল মায়ারসের ব্যাটে বিষাদের বিউগল বাজল টাইগার শিবিরে আর উল্টো চিত্র ক্যারিবীয়দের ডাগআউটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দল এলে হয়তো সুযোগই পেতেন না মায়ারস, সেই তিনিই হলেন ক্যারিবীয়দের অবিস্মরণীয় জয়ের অবিসংবাদিত নায়ক। চট্টগ্রামে লজ্জার সাগরে ডুবলো বাংলাদেশ।
পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সু চির মুক্তির দাবি
এর আগে রোববার সকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু হয়। জয়ের জন্য ৩৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থদিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তোলে সফরকারীরা। চট্টগ্রামের ভেঙে যাওয়া উইকেটে টাইগার স্পিন ত্রয়ীর সামনে পঞ্চমদিন বাকি রান তোলা ছিল অসাধ্য সাধন। কিন্তু সেটাই ক্যারিবীয়রা করে দেখিয়েছেন। আলগা ফিল্ড সেটিং, ক্যাচ মিস আর আক্রমণের অভাবে হারের লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ।
বুধবার শুরু হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১০৩ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মেহেদি মিরাজ। লোয়ার মিডল অর্ডারে তার ওই রানেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে ফেরা ও ইনজুরিতে টেস্টের মাঝেই ছিটকে যাওয়া সাকিব আল হাসান করেন ৬৮ রান। তার আগে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।
জবাবে ২৫৯ রানে থামে ক্রেগ ব্রাথওয়েটদের প্রথম ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্রাথওয়েট। এছাড়া ৪০ রান করেন কাইল মায়ার্স। পরে ৯৯ রানের জুটি আসে জার্মেইন ব্লাকউড ও জসুয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে। কিন্তু হুট করেই ছয় রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে যায় তারা। ব্লাকউড ফিরে যান ৬৮ রান করে। জসুয়া ডি সিলভা করেন ৪২ রান।