Wednesday, মে ১, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় অ্যালেক্সের’আঘাতে বন্যার কবলে ফ্রান্স-ইতালি, কবরস্থান থেকে ভেসে যাচ্ছে দেহ!

ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘অ্যালেক্স’। আর সেই ঘূর্ণিঝড় কাটতেই দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। ইতোমধ্যে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিখোঁজ বহু। বন্যা ও ভূমিধসে ফ্রান্সের নিস শহরের বেশ কয়েকটি গ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিসের রাস্তা-ঘাট, সেতু ও বহু বাড়িঘর নষ্ট হয়ে গিয়েঠে। ইতালির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেখা দেওয়া এই বন্যাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেসিয়া নদীর উপরে নির্মিত একটি সেতুর অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, পানির তোড়ে কবরস্থান থেকে দেহ ভেসে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নেমেছে সেনাবাহিনী। জরুরি পরিষেবা পাঠিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কাতে। ফ্রান্সের রুকোবিলিয়ে গ্রামের দুজন প্রবীণ মানুষ পানিতে তলিয়ে গিয়েছেন। তাদের ঘর ধসে পড়েছিল। এরপরই পানির তোড়ে ভেসে যান তাঁরা।

বন্যায় মৃতদের মধ্যে একজন ইতালির অ্যায়োস্তা ভ্যালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। অপরজন পিয়েডমোন্ট অঞ্চলের বাসিন্দা। বন্যার পানিতে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির গাড়ি নদীতে ভেসে গিয়েছে। ‘অ্যালেক্স’-এর ফলেই ফ্রান্সের নিস এলাকা রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। ইদানীং কালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা বলে দাবি করেছেন নিসের মেয়র।

ইতালিতে নিখোঁজ ২৫ জনের মধ্যে ইতালির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের রয়েছেন ১৭ জন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে একদল জার্মান ট্রেকারও রয়েছেন, তারা পাহাড়ে ভ্রমণের পর আর ফিরে আসেননি। সোমবার ফ্রান্সের তরফে জানানো, নিসের উত্তরের গ্রামগুলোতে অন্তত তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের আল্পস-মেরিটাইম অঞ্চলে প্রায় এক হাজার দমকলকর্মী-সহ হেলিকপ্টার এবং সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে বন্যার পানির সঙ্গে আটজন ভেসে যায়। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

 

আরও খবর পড়ুন:

ইউরোপ বাংলা

ইউরোপ বাংলা

একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার, ব্লগার, এডুকেশনাল কনসালট্যান্ট, ক্যারিয়ার কাউন্সিলর, উদ্যোক্তা।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা