ইউরোপ বাংলা: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাল কাপড়ে মুড়িয়ে মামলার রায়ের কপি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছানো হয়। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ থেকে এই ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়।
আইনতভাবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে খালাস দেন আদালত। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হাইকোর্টে মিন্নির বাবা: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি নিয়ে হাইকোর্টে এসেছেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। রোববার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাইকোর্টে আসেন তিনি।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানান, এখন তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার চেম্বারে আছেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৪২৯ পৃষ্ঠার রায়ের কপি হাতে পান তিনি। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।