Thursday, মার্চ ২৮, ২০২৪

ইউরোপে আবারও করোনার আঘাতের আশঙ্কা

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক: করোনা প্রাদুর্ভাব কমায় জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে৷ কিন্তু কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় পর্যায়ে আবারো ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ৷ দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ এর শঙ্কা৷ পশ্চিম জার্মানির এক লাখ তিন হাজার বাসিন্দার ছোট এক শহর গ্যুটার্সলো৷ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে এখন নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এর নাম৷

সম্প্রতি সেখানে একটি মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে৷ সাত হাজার কর্মীর মধ্যে ১৫৫০ জনেরই কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে৷ বাকিদের সবাইকেও কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে৷ মঙ্গলবার শহরের সমস্ত স্কুল আর ডে কেয়ার সেন্টাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ গুটার্সলো পড়েছে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়াতে৷ সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট গ্যুটার্সলো এবং তার পার্শ্ববর্তী বারেনডর্ফ শহরে লকডাউনও ঘোষণা করেছেন৷

২১ জুন বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ৮৩ হাজার ২০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ মহামারি শুরুর পর ২৪ ঘণ্টায় এটাই সর্বোচ্চ শনাক্তের ঘটনা৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে, তত বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে৷ বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ লাখ ৫২ হাজার রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে৷ মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩১ জন৷

জার্মানির আরো কয়েকটি শহরেও স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে৷ বার্লিনেরনয়কোলনে ৩৭০ টি বাড়িকে কোয়ারান্টিনের আওতায় আনা হয়েছে৷ ১২০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গ্যোটিঙ্গেনের একটি বহুতল ভবনকে লকডাউন করা হয়েছে৷ একইভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কয়েকটি চার্চেও৷

এই পরিস্থিতি যে শুধু জার্মানির তা নয়৷ লকডাউন শিথিলের পর স্থানীয় পর্যায়ে নতুন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার শুরু হয়েছে ইউরোপের প্রায় সব দেশেই৷ ওয়েলসে একটি পোলট্রি খামারে ১৭৫ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন৷ সেখানে লকডাউন করার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ৷ কারখানাগুলোতে এমন ঘটনা ঘটেছে আরো কয়েকটি জায়গায়৷

ওয়লসের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. গিরি শংকর বলেন, ‘‘লকডাউন তুলে নেয়ার কারণে এমন গুচ্ছ সংক্রমণগুলো ঘটবে৷ এটা প্রত্যাশিতই৷’’ এতে অবাক না হয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার উপর জোর দিয়েছেন তিনি৷

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার কাছের এক নার্সিং হোমেও কয়েকজনের করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে৷ কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে শুরুর দিকে সংক্রমণ ঠেকাতে পারলেও এখন সেকেন্ড ওয়েভের আশংকা করছে ইসরায়েল৷ প্রতিদিন তিনশো জন সেখানে শনাক্ত হচ্ছেন৷ পাঁচ ভাগের দুই ভাগ স্কুল আবারও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সবার আচরণের পরবির্তন না ঘটলে আবারো লকডাউন আরোপ করা হবে ইসরায়েলে৷

সেকেন্ড ওয়েভ বা করোনা দ্বিতীয় ঢেউ এর হানা সামাল দিতে লুক্সেমবুর্গের সরকার দেশটির সব মানুষের করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে৷ ছয় লাখ ২৮ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে এই পরীক্ষা চালানো হবে৷ উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে নতুন ‘হট স্পটগুলো’ চিহ্নিত করা এবং সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা