বিপ্লবকে চেনেন না এমন মানুষকে খুব কম পাওয়া যাবে বাংলাদেশে। এই প্রজন্মের কাছে হয়ত পরিচিত নয় বিপলব কিন্তু আশির দোষিকে কিংবা নব্বই ঢোকে ব্যান্ড মনে হাসান, বিপ্লব, এল আরবির জয় জয়কার ছিল.
আশির দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী বিপ্লব। ছিলেন ৮০’র দশকের অন্যতম জনপ্রিয় ‘প্রমিথিউস’ ব্যান্ডদলের প্রধান ও ভোকাল। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ ব্যান্ডদলটি সেসময়ে ছিল শ্রোতাদের মুখে মুখে। ব্যান্ডটি সেসময় ব্যান্ড, মিক্সড ও একক অ্যালবাম, স্টেজ শো দিয়ে দেশ মাতিয়েছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এলআরবি, নগরবাউলের মত ব্যান্ডদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বিপ্লবের এই ‘প্রমিথিউস’। তাদের রয়েছে মোট ১৮ টি অ্যালবাম।
এক সময়ের দেশ মাতানো গায়ক বিপ্লব এখন পরিবার নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে। স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে বিপ্লবের এখনকার সংসার। তবে এখন সংসার চালতে এই গায়ক নিউইয়র্কে ট্যাক্সি সার্ভিসের কাজ করছেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বিপ্লব জানিয়েছেন, তিন বছর আগে নিউইয়র্কে এসে প্রথম কাজ শুরু করি আমেরিকান এয়ারলাইনসে। এক বছর পর গাড়ি কিনে ট্যাক্সি সার্ভিস শুরু করেছি। আমি স্বাধীনমতো কাজ করছি। খবরদারি করার কেউ নাই। এখানে অন্য কাজ করব, আমার সেই সুযোগটাও তো নেই। স্মার্ট কিছু করতে হলে এখানকার পড়াশোনা লাগে। অভিজ্ঞতা লাগে। দেশের মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে এ দেশে স্মার্ট কিছু করা যাবে না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমি ট্যাক্সি জবে আছি, বলতে সংকোচ বোধ করি না। আমি তো চুরি করছি না। মানুষকে সেবা দিচ্ছি, বিনিময়ে টাকা নিচ্ছি। আমেরিকা আসার পর আমার অনেক বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি যে লাইফ স্টাইল লিড করতাম, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এখন যে লাইফ লিড করছি, মানুষ হিসেবে এটাই বড় যোগ্যতা। যদি ভাবতাম, আরে ভাই আমি তো বাংলাদেশের বিপ্লব, এখানে এসে কী করছি! তখন কিন্তু আমি শেষ! মানে আমি ব্যর্থ-হতাশ হয়ে যাব। এই হতাশা আমাকে গ্রাস করবে।
তবে গান একেবারেই ছেড়ে দেননি এই গায়ক। জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে মাঝেমধ্যে কনসার্টে গান করেন। নতুন গান লিখছেন। নতুন গানের সুরও তৈরি করছেন।
ইউরোপ বাংলা/এসএইচ