ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইরাকের কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম দেশটি সফর করছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। সিরিয়ার সাথে সীমান্ত নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে রবিবার সিরিয়া সফর শুরু করেছেন ইরাকের এই প্রধানমন্ত্রী। আঞ্চলিক শক্তিধর ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ইরাক ও সিরিয়ার। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় অন্যান্য আরব রাষ্ট্র দামেস্ক থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার ও সিরিয়ায় তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল তারা।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ আলালদিন বলেছেন, “মাদকের চারাচালান, বিশেষ করে অ্যামফিটামিন ক্যাপ্টাগনের চোরাচালান বন্ধ ও ৬০০ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত এলাকায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন উভয় দেশের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভূমধ্যসাগরে তেল রপ্তানির একটি পাইপলাইন পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করবেন; যা ইরাককে তার রপ্তানিপথ বৈচিত্র্যময় করে তুলতে সহায়তা করতে পারে।”
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে লড়াইয়ে ইরান-সমর্থিত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করেছিল বাগদাদ ও দামেস্ক। পরে তাদের এই সংঘাত ইরাক থেকে সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাতের এক পর্যায়ে উভয় দেশের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। কয়েক বছরের উত্তেজনার পর সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোর দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের মাঝে সিরিয়া সফর করছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি।