ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে। তবে ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো’ বলে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইইউ পর্যবেক্ষক দলকে। সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- আমাগী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি না। কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে ইইউ পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশন। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ ও নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইইউর নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানী দলটি গত শনিবার ১৬ দিনের সফরে ঢাকায় আসে। প্রথম দিন রবিবার দলটি ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে আলাদা একাধিক বৈঠক করেছে।
ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় এবং ইইউ দূতাবাসে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসব বৈঠক নিয়ে কূটনীতিকরা কোনো মন্তব্য করেননি প্রতিনিধিদলটি আজ সোমবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানা গেছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, ইইউর অনুসন্ধানী অগ্রগামী দলের গতকালের বৈঠকগুলোতে ঢাকায় ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্কসহ ইইউ মিশনে কর্মরত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীও বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে আছেন ইইউ ব্রাসেলস মেট্রোপলিটন এরিয়ার ইইউ কাউন্সিলের ডেস্ক অফিসার শেলেরি রিকার্ডো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইইউর অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে। এই মিশনের কাজ হবে মূল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করা।