Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

চীনে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা জানালেন নেতানিয়াহু

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তাকে চীনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তার কার্যালয় বেইজিংয়ের পরিকল্পিত সফর সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে। ঘোষণাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময় এলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নভেম্বরে ইসরায়েলের পুনর্নির্বাচনের পর নেতানিয়াহুকে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাননি। নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরিকল্পিত সফরটি হবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর চীনে চতুর্থ সফর।

মার্কিন প্রশাসনকে এক মাস আগে জানানো হয়েছিল।’কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী একটি দ্বিদলীয় কংগ্রেসীয় প্রতিনিধিদলকে এ সফর সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি কংগ্রেস সদস্যদের বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় মিত্র।’ নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্রর সঙ্গে এএফপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়।

তবে তিনি এ পরিকল্পিত সফর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বা কখন এটি হবে বলে আশা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে জানাতে পারেননি। এদিকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিক আহ্বান ও নেতানিয়াহুর অধীনে বসতি সম্প্রসারণের সমালোচনা করা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নেতানিয়াহু তার লিকুদ পার্টি ও কট্টরপন্থী বসতি স্থাপনকারীসহ চরম-ডান ও অতি-অর্থোডক্স ইহুদি মিত্রদের মধ্যকার একটি জোটের মাধ্যমে ডিসেম্বরে ক্ষমতায় ফেরেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে আছে।

বাইডেন নেতানিয়াহুকে তার বিতর্কিত আইনি সংস্কারের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে চীন মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক আক্রমণ চালিয়েছে। মার্চ মাসে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের মধ্যস্থতা করে দেশটি। অঞ্চলটিতে ওয়াশিংটন কয়েক দশক ধরে প্রধান কূটনৈতিক শক্তির দালাল।

প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস চীন সফর করেন। এ ছাড়া এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং শীর্ষ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কূটনীতিকদের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন। কিং তাদের বলেছেন, বেইজিং শান্তি আলোচনার সুবিধার্থে সাহায্য করতে প্রস্তুত। শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেনও গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে একটি বিরল সফর করেছিলেন, যেখানে চীনা নেতা শি চিনপিং বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের অগ্রগতি দেখেছেন।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা