ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ আজ শুক্রবার তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বকশীগঞ্জ আমলি আদালতে হাজির করলে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি বাবু। পরে সন্ধ্যায় আদালতের আদেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জামালপুর ডিবি পুলিশের ওসি মো. আরমান আলী।
জামালপুর ডিবি পুলিশের ওসি মো. আরমান আলী কালের কণ্ঠকে জানান, পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ শেষে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তাকে বকশীগঞ্জ জিআর আমলি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে হাজির করে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আসামি বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে ডিবি পুলিশ তাকে পুলিশ ভ্যানে করে জেলা কারাগারে নিয়ে যায়।
গত ১৭ জুন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চরতিস্তাপাড়া থেকে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রাব। বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুপাড়া ইউনিয়নের বরখাস্ত ইউপি চেয়াম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ লেখার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক নাদিমকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জের ধরেই গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরদিন ১৫ জুন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক নাদিম। এ ঘটনায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ২২ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুসহ বাদীর এজাহারে উল্লেখ থাকা পাঁচজন আসামিসহ ১৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ মামলাটির এজাহারভুক্ত ১৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে। হত্যার ঘটনার ১০দিন পার হলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।