ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ চীনে করোনার উৎপত্তি হলেও ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে দেশটি ক্ষতিরমুখে পড়েছে সেটা হলো ইতালি। ব্যাপকহারে সংক্রমণের ফলে রীতিমত হিমশিম খেয়ে গেছে দেশটি। সকল প্রতিকূলতার পর বর্তমানে সুস্থ হবার সংখ্যার দিন দিন বেড়েছে সাথে কমে গেছে নতুন করে ব্যাপকহারে মৃত্যুর সংখ্যা। তুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধাপে লকডাউন।
অটো শনিবার ইতালিয়ান সরকার নতুন একটি ডিক্রি জারী করেছেন চলাচলের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য। লকডাউন তুলে নেয়া হলে বন্ধ আছে সব ধরণের বিমান চলাচল, বাহিরের দেশে ভ্রমণ এবং ইতালিতে প্রবেশ। এই ডিক্রি মাধ্যমে তুলে নেয়া হচ্ছে ট্রাভেল নিষেধাজ্ঞা। জুনের ৩ তারিখ থেকে যেকেউ ইতালিতে থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারবে এবং ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশের সাথে ৩ জুন থেকে ইতালীর বর্ডার খুলে দেয়া হচ্ছে। যারা সীমানা অতিক্রম করে ইতালীতে যাবেন তাদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেটেনের বাধ্যতামূলক থাকছে না.
ইতালি প্রায় ৩১ হাজার ৬০০ জনের মত এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এর আউটব্রেকের কারণে। মৃত্যুর দিক থেকে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের পরেই ইতালির অবস্থান। এই দিকে রেস্টুরেন্ট এবং দোকানপাট খুলে দেয়া হচ্ছে মে ১৮ থেকে। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারে দেয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে, হাইজেনিক রুলস এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব কিছু পুনরায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইতালি ধীরে ধীরে করোনা মুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রতিদিনই সুস্থ্য হয়ে ফিরছেন হাসপাতাল থেকে অনেকে।
ইউরোপের আরো খবর – জার্মানি শনিবার থেকে শিথিল করছে সীমান্তের দ্বার !
ইউরোপ বাংলা/যুবরাজ শাহাদাত