ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : গ্রীস ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মাঝে আন্ত সীমান্ত পর্যটকদের অবাধ চলাচল জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
গতবছর গ্রিসে ৩৪ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করেছিল, পর্যটন এবং এর সংশ্লিষ্ট শিল্প এ দেশের অর্থনীতির মোট জিডিপির ৩০ ভাগ । সে কারণে বর্তমান মহামারী পেক্ষাপটে অর্থনীতিতে ব্যাপক আঘাত লেগেছে।
আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তঃসীমান্ত স্বাভাবিক ভ্রমণ এবং নিম্নোক্ত নিয়মগুলো শেয়ার করার আহবান জানিয়েছেন যেমন ভ্রমণকারী ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে ভাইরাস পরীক্ষা করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যয় ফেরত দেওয়া।
বিমানযাত্রী কে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং বিমান এর অভ্যন্তরে খাবার বা পানীয় পরিবেশন করা হবে না।
ভ্রমণের সময় পর্যটক আক্রান্ত হলে তাদের জন্য আলাদা চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দর্শনীয় বা পর্যটক আকর্ষণের স্থানে সংক্রমণ রোধে ভাইরাস প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গ্রিসে গত ৪ই মে প্রথম ধাপে লকডাউন খুলে দেয়া এ জুলাই এবং পরবর্তী ধাপে ১১ ই মে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন খুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন শপিং মল বন্ধ থকবে পয়লা জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে তবে খুচরা বিভিন্ন ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে গ্রিসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম আজ পর্যন্ত ২,৮১০ জন আক্রান্ত হয়েছে, আরোগ্য লাভ করেছে ১৪৬৪ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৬০ জন।
