ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিএনপিকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সে কারণে পুরনো এবং স্থগিত বিভিন্ন মিথ্যা, রাজনৈতিক, হয়রানীমূলক মামলাগুলো আবারও সচল করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করা। প্রার্থী যদি না থাকে তাহলে নির্বাচন হবে কীভাবে? সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার এখন মাঠে নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের লক্ষ্য একটাই- আবারও বিনা ভোটে, জোর করে ও কারচুপি করে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতা দখল করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন বিভিন্ন কৌশলে বেড়েই চলছে। বিএনপিকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার। খুন, হত্যা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, গত ১১ মে রায়পুর থানা বিএনপির সভাপতি এ কে নেছার উদ্দিনের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর ইটাখোলা মোড়ে পৌঁছালে তাকে হত্যার জন্য গাড়ি বহরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ও ককটেল হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের থেকে প্রাণ রক্ষার জন্য লাইসেন্সকৃত পিস্তল থেকে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন তিনি। এ হামলার ঘটনায় খোকন থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, খোকনের নরসিংদী বাড়ির নিচতলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহি, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।