Saturday, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

খুলনা ও বরিশালের ভোট সিসি ক্যামেরার দ্বারা পর্যবেক্ষণ করছে ইসি

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ঢাকায় নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম বারের মতো একসঙ্গে দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। আজ সোমবার সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট ৩১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ১৭৩২ টি। ২৩১০টি ক্যামেরার মাধ্যমে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে। অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট ৩০ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোট কক্ষ ৮৯৪টি।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১১৪৬টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন ৪৩টি কেন্দ্রে ৩৩১টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ২৩৫টি সিসি ক্যামেরায় ২৮৭১টি ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটোরোটেড করে- এভাবে ৪৫৮টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে, আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে, আজ সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় দুই সিটির ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দ্বিতীয় ধাপের সিটি নির্বাচন আজ।

গত ২৫ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এ দুই সিটিতেও বহাল। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রার্থী, ভোটার সবাই সন্তুষ্ট। মেয়র পদে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাসের কারণে দেশবাসীর বেশি নজর বরিশালে। ক্ষমতাসীন দল থেকে এবার প্রার্থী পরিবর্তন করায় এবং নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকায় বরিশালে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এ নির্বাচনে দুই সিটিতেই অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা চারটি। দলগুলো হচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টি। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যাঁরা কাউন্সিলর পদে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দলটি তাঁদের সমর্থক ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ করেছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। মেয়র পদে সাতজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন ও সংরক্ষিত ১০ নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে যে সাতজন লড়ছেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী হলেন কামরুল আহসান রুপন, আলী হোসেন হাওলাদার ও মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে, খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এস এম শফিকুর রহমান। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত ১০ জন প্রার্থীও কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর। এ সিটির মোট ভোটার পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ এবং পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোটকক্ষ এক হাজার ৭৩২টি।

 

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা