Sunday, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

বিএনপির অপরাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা : তথ্যমন্ত্রী

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন- এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে।

বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।
সাংবাদিকরা এ সময় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ এটিকে বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক।

বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এ রকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে। এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সারা দেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে।

বিটিভির অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যেকোনো টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।
নাটক, টেলিফিল্ম, সিনেমাতে সমাজের জন্য বার্তা থাকা দরকার : এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়। একইসাথে সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।

ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্তি, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। সহসভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।

মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর। আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাথে একটার বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না। অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য যেমন আমাদের কাছে আবেদন আসে কিন্তু আমরা সবগুলো দেই না কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার সাথে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে। আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।’ তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং দেশ ও দশের সেবায় তাদের আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা