Thursday, মে ২, ২০২৪

ইতালিতে বন্যায় নিহত অন্তত ৮, ফর্মুলা ওয়ান রেস বাতিল

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যায় অন্তত আটজন মারা গেছে। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি বলেছেন, কিছু অঞ্চলে মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের অর্ধেক বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নদীগুলোর তীর ভেঙে গেছে, শহরগুলোর মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং হাজার হাজার একর কৃষিজমি তলিয়ে গেছে। এমিলিয়া-রোমাগনার ভাইস প্রেসিডেন্ট আইরিন প্রিওলো সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে আটটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বৃষ্টি কমছে, তবে নদীর পানির উচ্চতা এখনো বাড়ছে।

এদিকে এই সপ্তাহান্তে ইমোলায় ফর্মুলা ওয়ান রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জায়গাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় সরকার বলেছে, জরুরি পরিষেবাগুলোকে উদ্ধার অভিযানে মনোনিবেশ করতে হবে বলে আয়োজনটি বাতিল করা হয়েছে। ফর্মুলা ওয়ান আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের ভক্ত, দল এবং আমাদের কর্মীদের জন্য ইভেন্টটি নিরাপদ রাখা সম্ভব না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

ইমোলার দক্ষিণে ফায়েনজা, সেসেনা এবং ফোর্লির রাস্তা দিয়ে কাদাযুক্ত পানি প্রবাহিত হয়েছে। পার্ক করে রাখা গাড়ির ছাদ পর্যন্ত পানি উঠেছে এবং দোকানগুলো ডুবে গেছে। স্থানীয়রা তাদের বাড়ির সবচেয়ে উঁচু তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বোলোগনাসহ অনেক শহর ও শহরের মেয়র বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত উত্তরের রাভেনা শহরও খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এমিলিয়া-রোমাগনা অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট স্টেফানো বোনাচ্চিনি ফেসবুকে বলেন, ‘নদীর ধারে কাছে যাবেন না। যারা জলস্রোতের কাছাকাছি এলাকায় থাকেন, তাদের উচু তলায় চলে যেতে হবে।’

রাভেনার মেয়র মিশেল ডি পাসকেল আরএআই পাবলিক রেডিওকে বলেছেন, ‘এটি সম্ভবত রোমাগনার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ রাত ছিল।’ তার শহর থেকে পাঁচ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই মাসে দ্বিতীয়বারের মতো এমিলিয়া-রোমাগনা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। মে মাসের শুরুতেও ঝড়ের সময় এই অঞ্চলে অন্তত দুইজন মারা গেছে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, কয়েক মাস খরার ফলে জমি শুকিয়ে গেছে এবং পানি শোষণ করার ক্ষমতা কমে গেছে। তাই প্রবল বৃষ্টিপাতের পর বন্যার প্রভাব আরো খারাপ হয়েছে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা