Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

শুক্রবার ঢাকায় বসছে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : আগামী শুক্রবার ঢাকায় বসছে দুই দিনব্যাপী ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আগামী ১২ মে থেকে ১৩ মে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সম্মেলনের ষষ্ঠ আসর বসছে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার (১০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এবারের আয়োজনের থিম হলো ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব’। এ সম্মেলনে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং আনুমানিক আরো ২৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী/ মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী/ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ আরো দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। তা ছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের মহাসচিবসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, পণ্ডিত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীসহ আরো প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে আগমন করবেন বলে আশা করছি। এরই মধ্যে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রগুলো ছাড়া অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্র সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি, মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতি, ভারত, ভুটান, নেপাল, বাহরাইন ও সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিশেলস, শ্রীলঙ্কা ও মাদাগাস্কারের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, শ্রীলঙ্কা, জাপান, কম্বোডিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আরব আমিরাত থেকে প্রতিমন্ত্রী, সোমালিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে উপমন্ত্রী এবং ফিলিপাইন, আমেরিকা, ইরান, কুয়েত, ওমান, থাইল্যান্ড ও জার্মানি থেকে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ১২ মে চারটি প্রাক-সম্মেলন সেশন ও ১৩ মে দিনব্যাপী মন্ত্রী পর্যায়ের চারটি থিমেটিক সেশন হবে, যাতে আমন্ত্রিত মন্ত্রী ও মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া ১৩ তারিখ সকালে সব মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় অনেক সুপারিশ ও মতামত উঠে আসবে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজন করার মাধ্যমে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারি সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি মনে করি, পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে উক্ত সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুসংহত হবে। বিশ্বের এতগুলো দেশ থেকে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রী পর্যায়ের অংশগ্রহণ আমাদের সার্বিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল এবং এটি ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব প্রমাণ করে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা