ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : পশ্চিম কানাডায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। এবার সেই গরম আবহাওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ কানাডার আলবার্টার কিছু অংশে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে এবং সঙ্গে তুষার গলে শুরু হয়েছে বন্যা।
গতকাল শুক্রবারের ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে আলবার্টা থেকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। কারণ ৭৮টি এলাকায় আগুন জ্বলছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরের লিটল রেড রিভার ক্রি নেশন। যেখানে ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর ফক্স লেক জুড়ে জ্বলছে আগুন। এতে ২০টি বাড়ি এবং থানা পুড়ে গেছে। প্রাদেশিক রাজধানী এডমন্টন থেকে ১৪০কিমি (৮৭ মাইল) পশ্চিমে ড্রেটন ভ্যালির ৭ হাজার মানুষকেও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। এই বছর আলবার্টাতে ৩৪৮টি দাবানলের ঘটনা ঘটে এবং ২৫ হাজার হেক্টর (৬২০০০ একর) এরও বেশি জমি পুড়ে যায়। আলবার্টা ওয়াইল্ডফায়ারের তথ্য ইউনিটের ম্যানেজার ক্রিস্টি টাকার বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বছরের এই সময়ে দাবানলের ঘটনা বেশি ঘটল এবার। আগুন আরো বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। বেশি পরিমাণে বাতাস প্রবাহের কারণে দাবানল চরম আকার ধারণ করতে পারে। অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের প্রস্তুত রাখা রয়েছে।’
এদিকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতর নদীগুলোতে পানির পরিমান বেড়ে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে দিয়েছে। শুরু হয়েছে বন্যা। ক্যাশে ক্রিক এবং গ্র্যান্ড ফর্কসসহ দক্ষিণের এলাকাজুড়ে রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত পশ্চিম কানাডা বেশ ঠাণ্ডা ছিল এবং বসন্ত ঋতু চলছিল। কিন্তু মে মাসের শুরুতে অসময়ে তাপমাত্র বেড়ে দাঁডায় ১০-১৫ ডিগ্রিতে ফলে তুষার গলে শুরু হয় বন্যা। তাছাড়া অসময়ের উচ্চ তাপমাত্রার কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় প্রদেশের দক্ষিণ অঞ্চলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসসহ সপ্তাহান্তে বন্যার অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার নদীর পূর্বাভাস কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জারি করা বন্যা সতর্কবার্তায় বলেছে, ‘শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত নদীতে পানির স্তর সর্বোচ্চ হতে পারে।’